সাহিত্য নয়নে আপনাকে স্বাগত

"সাহিত্য নয়ন" সাহিত্য পত্রিকায় আপনাকে স্বাগত। ( প্রকাশকের লিখিত অনুমতি ছাড়া এই পত্রিকার কোন অংশ কেউ প্রকাশ করলে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে)

শনিবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২২

মলাট (২০ তম সংখ্যা)

 



সম্পাদকীয়

 কথা রেখেছে সবাই,

রাখিনি শুধু আমি।

ক্ষমা করে দিও আমায়,

তোমাদের ভালোবাসায় বাঁচি আমি।


কথা ছিল নতুন বছরের প্রথম দিনেই ভাসিয়ে দেবো সোনার তরী মহাসমুদ্রের দিকে। কিন্তু পারিনি। জীবন প্রতিকূলতায় চলতে চলতে আজ ষোড়শতম দিনে এসে পৌছালাম।


প্রিয় পাঠক প্রতিটি  সংখ্যা প্রকাশের পর আপনাদের সার্বিক সহযোগিতা এবং উষ্ণ অভ্যর্থনায় আমরা অভিভূত। আর তাই হয়তো আপনাদের ভালোবাসার টানেই আবারো হাজির হতে পেরেছি অনেক আশা ও স্বপ্ন জড়িত "সাহিত্য নয়ন" - এর "নববর্ষ সংখ্যা ২" নামক ২০ তম সংখ্যা নিয়ে। আপনাদের নিরন্তর সাহচর্যে সমৃদ্ধ "সাহিত্য নয়ন"-এর এই পথ মসৃণ ও সুগম হোক। নতুন বছরের অনেক অনেক শুভকামনা রইল ।




ধন্যবাদ শ্রদ্ধাসহ-----


রাজেশ ভট্টাচার্য্য


সম্পাদক, সাহিত্য নয়ন

প্রাপ্তি (শুভেচ্ছা বার্তা)

 

প্রাপ্তি(শুভেচ্ছা বার্তা)


প্রথম সংখ্যা প্রকাশের পর


হেমন্ত দেবনাথ লিখেছেন----

এখনি পত্রিকা দেখতে পেয়েছি। সম্পাদকের এই প্রয়াসকে অভিনন্দন। এটি হবে একটা দর্পণ,  যা সমাজ থেকে গ্লানি দূরীকরণের সহায়ক ।  এর সাফল্য অবশ্যম্ভাবী।


মধুমঙ্গল সিনহা লিখেছেন-----

খুব ভালো লাগলো।আসুন সবাই মিলে এগিয়ে চলি।অসংখ্য ধন্যবাদ....


দ্বিতীয় সংখ্যা প্রকাশের পর


কিশোর কুমার ভট্টাচার্য লিখেছেন-----

উদ্যোক্তা ব্যক্তিত্ব ও প্রকাশক- সম্পাদক সকলের কাছে  কৃতজ্ঞতা স্বীকার করছি৷ এপ্রয়াস আগামীর দিকে এগিয়ে চলুক৷ এউদ্যোগের জন্যপ্রয়োজনীয় অর্থের যোগান কিভাবে হচ্ছে৷ এব্যাপারে আমাদের কিছু  করণীয় থাকলে বলবেন৷


তৃতীয় সংখ্যা প্রকাশের পর


বাংলাদেশ থেকে সাগর পাল লিখেছেন-----

সাহিত্য নয়ন একদিন সমাজকে সঠিক পথ দেখাবে আমার বিশ্বাস। পত্রিকার সম্পাদককে এই উদ্যোগ গ্রহণ করার জন্য সাধুবাদ জানাই। সার্থক হোক এই প্রচেষ্টা।


চতুর্থতম সংখ্যা প্রকাশের পর


পশ্চিমবঙ্গ থেকে লিখেছেন কবি অমল কুমার মাজি -----

সু-প্রভাত ! একরাশ অনিশ্চয়তার বোঝা মাথায় নিয়েই শুরু হ'চ্ছে প্রতিটি সকাল !তবু আমরা সাহিত্য নয়ন পরিবার দিশা খুঁজব এক সুস্থ সংস্কৃতির।আমরা কবিতা লিখব,-গান গাইব। সুখের গান তো অনেক হ'য়েছে,এখন না হয় দুঃখের গানই গাইব,দুঃখের কবিতাই লিখব।যতদিন স্পন্দন থাকবে দেহে ততদিন থামব না আমরা।এই মাত্র প'ড়ে ফেললাম পত্রিকা। খুব সুন্দর সাজানো অলঙ্করণ ! সব লেখার সুর যেন একটি তারেই বাঁধা।কিছু সংশয়,কিছু প্রতিশ্রুতি,-"যদি ফিরে আসি,সূর্য হ'ব আমি,দগ্ধ ক'রে পুরাতনের কালিমা নব সোনালীর অবনী গ'ড়ব ! "সংশয় "আছে।"যদি"আছে কিন্তু দৃঢ় প্রত্যয়ও তো আছে। "ধরিত্রী মাতার ললাটে চিন্তার ভাঁজ দেখেছেন কবি হেমন্ত দেবনাথ!ঠিকই! কবি কিশোর কুমার ভট্টাচার্য্য নীলযমুনার জলকে কালো পঙ্কিল দেখেছেন কিন্তু 'বিশুদ্ধতায় ফেরার আর্তি'আশা জাগায়!সম্পাদকীয়তে সকলকে সাথে নিয়ে চলার ঐক্যতান রণিত হ'য়েছে,-'আমরা সবাই মিলে ছোট্ট তরী খানি ভাসিয়ে দিয়েছি সাহিত্যের মহাসমুদ্রের দিকে।' অনবদ্য অভিব্যক্তি, 'মহাসমুদ্রই' তো !এমন একনিষ্ঠ কর্ণধার যখন আছেন তখন তরী আমাদের চ'লবেই !সাথে আছি।ভগ্ন হৃদয়। ক্ষুদ্র সামর্থ।তবু আছি পাশে।অনেক অনেক শুভকামনা সম্পাদক এবং অবশ্যই সমস্ত'কুশীলব'দের জন্য।


পঞ্চম সংখ্যা প্রকাশের পর

অভিজিৎ চৌধুরী লিখেছেন-------

এক অসাধারণ উদ্যোগ। আমি সাহিত্য নয়ন সাহিত্য পত্রিকার উত্তরোত্তর শ্রীবৃদ্ধি কামনা করি।


ষষ্ঠতম সংখ্যা প্রকাশের পর

বর্ধমান থেকে অমল কুমার মাজি লিখেছেন ----

অনেক অভিনন্দন।পত্রিকা পেলাম।এবং অত্যন্ত আনন্দিত হ'লাম।সময় নিয়েই প'ড়ব।অনেক নিষ্ঠা ও পরিশ্রমের ফসল।তাই নিষ্ঠার সঙ্গেই প'ড়তে হবে। "ব্যর্থ চিঠি" প'ড়ে ফেললাম,কিন্তু এই সাতসকালে না প'ড়লেইভাল ক'রতাম বোধ হয়!সকাল বেলায় কাঁদতে হ'ত না এমন ক'রে! অনেক অনেক ভালোবাসা।


সপ্তম সংখ্যা প্রকাশের পর

হেমন্ত দেবনাথ লিখেছেন-----

" সাহিত্য নয়ন" সমস্ত প্রতিকূলতার মধ্য দিয়েও  আত্মপ্রকাশ করতে পেরেছে, তার জন্য সন্তোষ ব্যক্ত করছি। এজন্যে প্রচ্ছদ- শিল্পী, অক্ষরবিন্যাকারী, কবি-লেখক, মুদ্রণকারী, প্রকাশক, সম্পাদক,সত্বাধিকারী, পরামর্শদাতা--- এককথায় যে যেভাবে দূর বা অদূর থেকে প্রত্যক্ষ কিংবা পরোক্ষভাবে সহযোগিতা করেছেন, তাঁদের সবাইকে বিনম্র শ্রদ্ধা ও ধন্যবাদ জানাচ্ছি। সত্যি এ-রকম একটা উদ্যোগ বজায় রাখা চারটে খানা কথা নয়। 


           বিষয়- নির্বাচন অভিনন্দনযোগ্য। প্রত্যেকের লেখার মধ্যে একটা ভিন্নস্বাদের বৈচিত্র্য রয়েছে। শব্দচয়নও সাবলীল হয়েছে। আমি এই সাহিত্য-পত্রিকার উৎকর্ষতা কামনা করি।            


                শুভ কামনায়-----

                হেমন্ত দেবনাথ। 

               দিনাঙ্কঃ-29/10/2020.


অষ্টমতম সংখ্যা প্রকাশের পর

দেবিকা ভট্টাচার্য লিখেছেন-----

খুব সুন্দর হয়েছে। প্রতিটি লেখা অসাধারণ। অনেক অনেক শুভকামনা রইল। সাহিত্য নয়ন সাহিত্য পত্রিকা রামধনুর রং এর মত আরো রঙিন হয়ে উঠুক।


নবমতম সংখ্যা প্রকাশের পর

চন্দ্রলাল নাথ লিখেছেন----

I personally congrats to Shittya Nayan  as it has been raises a great scoops to the new & old writer of North Tripura (as well as Tripura) in the Literacy field. --- I convey my heart fail gratitude to the organizing body's all members art.


দশমতম সংখ্যা প্রকাশের পর

চন্দ্র লাল নাথ লিখেছেন -----

"Sahitya nayan" is an excellent attempts to focus the articles of different writers. I cordially congrats to the Aditor  & the all executive members of the committee for theirs hard labour. I wish every success  the  E-paper of the Sahitya Nayan.



হেমন্ত দেবনাথ লিখেছেন-----

সম্পাদকীয় সুষমামন্ডিত হয়েছে। এছাড়া বাকি লেখাগুলো স্ব স্ব বৈশিষ্ট্যে সমুজ্জ্বল। সর্বোপরি, স্বল্প আয়োজন হলেও গভীরতার স্পর্শে কোনো অংশেই কম নয়। আমি অনলাইন সাহিত্যপত্র"সাহিত্য নয়ন"-এর সার্বিক সমৃদ্ধি কামনা করি। 


                       ধন্যবাদান্তে--- 

                     হেমন্ত দেবনাথ।


একাদশতম সংখ্যা প্রকাশের পর

অমল কুমার মাজি লিখেছেন----

সাহিত্য নয়নের অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক এবং মূল্যবান একুশে ফেব্রুয়ারির একাদশ সংখ্যাটি পেলাম।অনেক অনেক অভিনন্দন সম্পাদক তথা কুশীলবদের।যাঁরা প্রত্যেকে মূল্যবান লেখা দিয়ে  "সাহিত্য নয়নের"পাতা সমৃদ্ধ ক'রেছেন।তরুণ সম্পাদকের এই ঐকান্তিক প্রচেষ্টাকে সাধুবাদ না জানালে সত্যের অপলাপ হয়।চরৈবেতি।


দ্বাদশতম সংখ্যা প্রকাশের পর


হেমন্ত দেবনাথ লিখেছেন------

সদ্যপ্রকাশিত " সাহিত্য নয়ন"-এর 'বসন্ত সংখ্যা' টি  পাঠ করে বড়োই প্রীত হলাম। অনবদ্য ও স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্যে উদ্ভসিত প্রতিটি লেখা। মনটাতে দাগ কেটে যায় লেখাগুলো। একটি পড়ার পরই আরেকটি পড়ার ইচ্ছে আমার জেগেছিল এবং এটা হয়েছিল স্বতঃস্ফূর্তভাবেই। সবশেষে বলি, সম্পাদকীয়টা হয়েছিল খুবই সময়োচিত ও প্রাসঙ্গিক , মাধুর্যপূর্ণ ।


                    কবিতার সাথে দু' একটি আর্টিকেল/ স্বল্প কলেবরযুক্ত নিবন্ধ বা ছোটগল্প থাকলে সাহিত্যপত্রিকাটি   আরোও বৈচিত্র্যে  ভরপুর হয়ে উঠতো। অবশ্য  তার মানে এ নয় যে এখানে কোনো কিছুর খামতি ঘটেছে। বরং লেখাগুলো যেন হয়েছে বসন্তের রঙের নেশায় এক মায়াবী স্বপ্ন নিকেতন। আমি " সাহিত্য নয়ন"-এর সার্বিক সাফল্য কামনা করি। 


                  ধন্যবাদান্তে----

                 হেমন্ত দেবনাথ। 

                 দিনাঙ্ক:-29/03/2021.


গৌরী দেবনাথ লিখেছেন----

সাহিত্য নয়নের প্রতিটি লেখা যেমন রসপূর্ণ হয়েছে, তেমনি মাধুর্যপূর্ণ হয়েছে। এই জন্য সাহিত্য নয়নের সম্পাদককেও ধন্যবাদ জানাই। আমি সাহিত্য নয়নের অগ্রগতি কামনা করি।



১৫ তম এবং ১৬ তম সংখ্যা প্রকাশের পর সম্মানিত পাঠক কর্তৃক কিছু প্রাপ্তি :-


ত্রিপুরা রাজ্যের ধর্মনগর থেকে হেমন্ত দেবনাথ মহাশয় লিখেছেন------

"সাহিত‍্য নয়ন"-এর ষোলতম সংখ্যা   প্রকাশিত  হয়েছে। এতে আমরা গর্বিত। খুব ভালো  লাগছে প্রচ্ছদ দেখে, সম্পাদকীয়  লেখাটা শৈল্পিক  দ‍্যোতনা লাভ  করেছে। এজন‍্য সম্পাদককে ব‍্যক্তিগত ভাবে স্বাগত  জানাই।


       প্রতিটি লেখাই আমার হৃদয়কে নাড়া দিতে  পেরেছে। সবাইকে  ধন‍্যবাদ জানাই। যাদের  ঐকান্তিক  প্রয়াসেই  সফলতা এসেছে, তাঁদের  সবাইকে  শ্রদ্ধাঞ্জলি  জ্ঞাপন  করছি। আমি  সাহিত‍্যপত্রটির অগ্রগমন কামনা করছি।


                 সশ্রদ্ধ  অভিনন্দন সহ----

                  হেমন্ত  দেবনাথ।

                  তারিখ :-01/08/2021.


পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান থেকে অমল কুমার মাজি মহাশয় লিখেছেন-------

আমার  প্রিয় "সাহিত্য নয়ন পত্রিকার জুলাই 2021 সংখ্যা  পেলাম।অজস্র ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা পত্রিকার  কর্ণধার ভ্রাতৃপ্রতিম রাজেশ ভট্টাচার্যকে।তার নিরলস প্রচেষ্টার ফলেই এমন একটি সাংস্কৃতিক কর্মযজ্ঞ সম্পন্ন হয়ে চলেছে নিয়মিত।শুভেচ্ছা র'ইল সমস্ত কলাকুশলীদের।যাঁদের সুচিন্তিত লেখনীর আঁচড়ে সমৃদ্ধ হয়ে উঠেছে পত্রিকা।আমি কণামাত্র অংশগ্রহণ করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করছি। অনেক অনেক শুভকামনা।


ত্রিপুরার ধর্মনগর থেকে জয়ত্রী চক্রবর্তীর মহোদয়া লিখেছেন-----

বাহ্...সম্পাদক মহাশয়... খাসা হয়েছে সম্পাদকীয় খানা...বড় ভালো লাগলো ভাই...


বাংলাদেশ থেকে দিলারা বেগম লিখেছেন-------

সাহিত্য নয়ন সমাজের দর্পণ। সম্পাদক মহাশয়ের এই প্রচেষ্টা প্রশংসনীয়। সকল কবিদের প্রতি রইল শুভকামনা। সাহিত্য নয়ন এগিয়ে যাক।


ধর্মনগর থেকে হেমন্ত দেবনাথ মহোদয় লিখেছেন-------

" সাহিত্য নয়ন"-এর পঞ্চদশতম সংখ্যা ( বর্ষামঙ্গল বিষয়ক সংখ্যা--2)  প্রকাশ করার জন্য সম্পাদকসহ সংস্থার সকলকে জানাই হার্দিক ভালোবাসা ও  আন্তরিক অভিনন্দন। লেখাগুলো মনোমুগ্ধকর ও সুখপাঠ্য হয়েছে। 


          আমি জোর গলায় বলবো যে, পাশ্চাত্য অপসংস্কৃতির বেলাল্লাপনার বিরুদ্ধে ও ঐক্যস্থাপনের পক্ষে " সাহিত্য-নয়ন" আজকের দিনে সবচেয়ে বড়ো চ্যালেঞ্জ। সুস্থ সংস্কৃতির বিকাশে ও  মনকে পরিশীলিত করার ব্যাপারে লেখাগুলোর ভূমিকা অপরিসীম। আমি সাহিত্য পত্রিকাটির অগ্রগতি কামনা করি।    


                     শুভকামনায়-- 

                   হেমন্ত দেবনাথ।  

                    

ধর্মনগর থেকে গৌরী দেবনাথ মহোদয়া লিখেছেন-----

সম্পাদককে ধন্যবাদ  জনাই পত্রিকা  প্রকাশের জন্য।প্রতিটি লেখা  পড়ে মন  ভরে গেল।


বাংলাদেশ থেকে বিমল বিশ্বাস মহোদয় লিখেছেন-----

আজকের সমাজে সাহিত্য নয়নের বড়ো প্রয়োজন। আমি সাহিত্য নয়নের উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি কামনা করছি।


১৭ থেকে ১৯ তম  সংখ্যা প্রকাশের পর


ধর্মনগর থেকে হেমন্ত দেবনাথ মহোদয় লিখেছেন------

অনাবিল আনন্দ লাভ করেছি  "সাহিত‍্য নয়ন"-এর সতেরতম সংখ‍্যা পাঠ করে। লেখাগুলো  অনবদ্য। সম্পাদকীয়  চমৎকার  হয়েছে। যাঁদের লেখনী স্পর্শে সাহিত‍্যপত্রিকাটি  পূর্ণতা লাভ করেছে, তাঁদের জানাই ধন‍্যবাদ। 

                "সাহিত‍্য-নয়ন"-এর জয় হোক্।



দক্ষিণ ত্রিপুরা থেকে মিঠু মল্লিক বৈদ্য লিখেছেন----

আন্তরিক ধন‍্যবাদ ও শুভকামনা। এগিয়ে চলুক সাহিত‍্য নয়ন।



 পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান থেকে অমল কুমার মাজি লিখেছেন-----

অনেক অনেক অভিনন্দন নির্দিষ্ট দিনে পত্রিকা প্রকাশের জন্য।অনেক ভালোবাসা।শুধুমাত্র সম্পাদকীয়টি প'ড়লাম। অসাধারণ এবং প্রাসঙ্গিক সম্পাদকীয় প্রশংসার দাবী রাখে এ কথা বলাই বাহুল্য।



 খোয়াই ত্রিপুরা থেকে শিল্পী আচার্য লিখেছেন------

শুভকামনা রইল এগিয়ে যাক সাহিত্য নয়ন


পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান থেকে অমল কুমার মাজি লিখেছেন----

আমার প্রিয় "সাহিত্য নয়ন পত্রিকা "পরিবারের সকল লেখক -লেখিকা ও শুভানুধ্যায়ীদের জানাই হার্দিক অভিনন্দন।আর পত্রিকাটিকে যিনি দীর্ঘদিন নিরলস ভাবে পরিচালনা ও সুচারু সম্পাদনায় মহিমাণ্বিত ক'রে চলেছেন সেই ভ্রাতৃপ্রতিম রাজেশের জন্য  র'ইল অন্তহীন ভালবাসা।



ধর্মনগর থেকে হেমন্ত দেবনাথ লিখেছেন-----

"সাহিত‍্য নয়ন" সমস্ত প্রতিকূলতার সাথে লড়াই  করে তার বিজয়-পতাকা উড্ডীন রেখেছিল,রাখছে এবং রাখবেও। এটা আমার  প্রত‍্যাশা। তাই তো দেরী  করে হলেও পত্রিকার  এ  সংখ‍্যাটা সগৌরবে   আত্মপ্রকাশ  করেছে। এ জন‍্যে আমি সম্পাদকসহ  সাহিত‍্যনয়ন পরিবারকে অভিনন্দন জানাচ্ছি।

         এ সংখ‍্যার প্রতিটি লেখা সাহিত‍্য-গুণে ভরপুর  ও আকর্ষণীয়।  কিছু কবি,লেখকের পরিচিতির সংযোজন  পত্রিকাটিকে ভিন্নমাত্রা প্রদান করেছে।

               আমি  "সাহিত‍্য-নয়ন" -এর সর্বতোভাবে  মঙ্গল  কামনা করছি।


বাংলাদেশ থেকে বিল্লাল হোসেন লিখেছেন-----

প্রতিটা লেখা আমার হৃদয় স্পর্শ করেছে। আমি আপনাদের পত্রিকার নিয়মিত পাঠক বলতে পারেন। সাহিত্য নয়নের সফলতা কামনা করছি।

চিরশ্রী দেবনাথ


 

                          নববর্ষ                           

                  

                              -----চিরশ্রী দেবনাথ


এসো নববর্ষ অর্ণবমেঘে, এই পৃথিবীতে আবার


যারা চলে গেছে, অকালে অঝোরে ঋতুচিহ্ন নিয়ে


সকল নৃশংসতা... বিষ ও আগুনের মতো হৃদয়ে ধারন করে


ক্ষমা করো তোমরা এই পৃথিবীরে, সদ্যজাত বঙ্গাব্দকে    


আসতে হয় ক্ষীণ ধর্মবোধ আর শ্বেতপ্রদাহ নিয়ে নিয়ম করে


তাই আসা, তাই আসা, উন্মাদ কালবৈশাখীর সঙ্গে 



মধ্যরাতে পিচ ঢালা রাস্তায় নীলাভ হিমকর ধরাচ্ছে নেশা


 দুপাশের বাড়ি থেকে কাচের জানালয় আলো পড়ছে ভেঙেচুরে বুঁদ হয়ে 


 জল ছিটকে চলে যাচ্ছে গাড়ি, নির্জনতা পছন্দ করেনি সে 


তরুণ ড্রাইভার বন্দিশের ঠিকানা বদলাচ্ছে বার বার


তাই দেখে ফ্রক পরা কিশোরী পুনর্বার নেমেছে বর্ষবরণে


দুহাতের খই ভরা ডালায় তার বারোটি মাস রাখা সুঘ্রাণে



কাঁচা কাঁঠালের আসক্তি কষ লেগে যাচ্ছে হাতে ও স্পর্শে


মথুরা শহর যেমন করে পারে না ভুলতে দূর বৃন্দগ্রামকে


আজকাল নির্বাচনী প্রচারের পর যুবকের দল ফিরে যায়


সঙ্গে কী থাকে, কী লাভ , কী হয় আসলে, তবুও অমোঘ নেশা, 


সমুদ্র দ্বীপ যেমন করে দার্ঢ্য থাকে ঢেউয়ের নরম রিরংসায়,  


অশ্রু ও রক্ত ভুলে গনতন্ত্র ধরতে চায় কেবল এক প্রত্যয়ী হাত ;


 স্লোগান মিথ্যা হয়, প্রতিশ্রুতিও, তবুও দেশ বলে


জাগিয়ে রাখো ; জেগে থাকো ; হাজার অন্ধকার আলোরই মতন অবশেষে,


 পথ শেষে তাই এই নববর্ষ মায়াময়, রোদময় ;


বৈশাখে জন্ম নেওয়া পাখি শিস দিতে শিখেছে আজই, খিস্তিও ;


তার শিশুকাল নিস্তব্ধতা শেখেনি, অচিরেই আছড়ে পড়েছে যৌবন ;


প্লাবন তাই সমকালে, আগামীতে উর্বরা পলি, স্বতন্ত্র শস্যক্ষেত্র।

কিশোর কুমার ভট্টাচার্য


 

     চলো যাই


          ------কিশোর কুমার ভট্টাচার্য


চলো, চলো যাই 

হেমন্ত নিবাসে,

টাকা চাই না, পয়সা চাইনা, 

চলো যাই 

একটুখানি শান্তির আশে।

হে কিশোর!   

প্রৌঢ় হেমন্ত 

এখনো দেখো কেমন 

যৌবনের ছোঁয়ায় প্রাণবন্ত। 

পাতা গুলো ঝিরিঝিরি স্বরে 

পড়ছে ঝড়ে 

এক একটি দিন করে। 

সময় যাবে চলে 

বসন্ত শেষে গ্রীষ্ম এসে যাবে ;

রবির পরশে  নতুন বরষে সাজবে  বৈশাখ। 

চলো যাই বৈশাখী পূর্ণিমায় 

রবির সাজানো আঙ্গিনায়, 

বসে সময় কাটাই  

কিছু কথায়;

হাসি ঠাট্টায়,

রবি-চন্দ্রের 

আশিস্ পাবার আশায়। 


রচনা কাল:- ২১/৪/২০২২, বৃহস্পতিবার।

হেমন্ত দেবনাথ



                      সাম্যের কবি


                                 ------হেমন্ত দেবনাথ 


যার লেখায় ছিল, বিদ্রোহের ছোঁয়া 

স্বভাব ছিল না তাঁর কারো কাছে মাথা নোয়া। 

শোষণের বেদীমূলে ঢেলে দিয়ে ঘৃণা 

বাজালেন তিনি বিদ্রোহের “অগ্নিবীণা”। 

লিখলেন তিনি “কান্ডারী হুঁশিয়ার” আর “বিদ্রোহী” 

রক্তক্ষরা তাঁর লেখায় চমকে গেল মহী। 

লিখলেন তিনি বাউল, শ্যামা, ভজন, কীর্তন আর গজল, 

অফুরন্ত সুর-বৈভব এবং বাণীর অপর ঐশ্বর্যে মুগ্ধ সকল । 

লেখনী তাঁর গর্জে উঠেছে দুর্বলের শোষণ নীতির বিরুদ্ধে, 

সৃজনগাথার পংক্তিতে বিধৃত সবলের সাথে দুর্বলের যুদ্ধে। 

বললেন তিনি “বাজাও শঙ্খ, দাও আজান।” 

তাঁর হৃদয় থেকে বাঙ্ময় হল ঐক্যের জয়গান। 

নজরুলের সৃষ্টিগাথায় আমরা পাই যে বাঁচার আশা, 

‘টর্ণেডো’-র মতো আঘাত আসুক যতই সর্বনাশা।

অমল কুমার মাজি



 

                মন বলে


                          -----অমল কুমার মাজি


নাইবা গেলাম এক্ষুণি সব ছেড়ে 

আর কিছুকাল থাকলে কিসের ক্ষতি

জানি গো সব নেবেই তুমি কেড়ে

তবুও দাও সামান্য সম্মতি।।


কখনো বা মন বলে যাই-যাই

একটু পরেই তাকাই ফিরে -ফিরে

স্বজন-মায়ায় বাঁচারই গান গাই

সময় তুমি একটু চলো ধীরে।।


ফুরিয়ে যাওয়ার রৌদ্র -ছায়া খেলা

চ'লতে থাকে শুধুই নিরন্তর

একটু সোহাগ একটু অবহেলা 

এসব নিয়েই চ'লছি জীবন 'ভর।।


এমনি ক'রেই যায় যদি দিন যাক

আর ক'টা দিন গাইতে যে চায় মন

দিনের আলো আর কিছুক্ষণ থাক

জীবন ক'রি একটু রোমন্থন।।

মিঠু মল্লিক বৈদ‍্য


 

         সন্নিবদ্ধতার উপসংহারে


                       -----মিঠু মল্লিক বৈদ‍্য


আগুণ পাখির চরম উদ‍্যামতায়,

অংশুমালীর  সারল‍্যতায় যাদের ভয়,

তাদের সমুখে হও হিমালয়।


অবিশ্বাস, কূটনীতি আর 

হীনমন‍্যতা যাদের হাতিয়ার

তাদের সমুখে ছড়াও রক্তিম ভালোবাসা।


ভালোবাসায় যারা বাণিজ্য দেখে,

সৌহার্দ্যে খোঁজে সৌজন‍্যতা 

তাদের সমুখে হও বহমান শৈবলিনী।


শিষ্টতায় যারা কপটতা খোঁজে 

মিষ্টি হাসির আড়ালে লুকায় ছলনা

তাদের সমুখে হও দিলদরিয়া।


যারা সামনে নয়

পেছনে রচে কপটতার খেলাঘর

তাদের লাগি সাজ উন্মাদ কালবৈশাখী।


নৈতিকতায় যাদের প্রশ্নচিহ্ন,

অন‍্যের ছায়াতলে খোঁজে নিজের অস্তিত্ব,

তারা কখনো হয়না কারোর আপন।


যাদের ভালোবাসার ঋণে হয়েছ ঋণী

ঋণ শোধের ডাকে হও আগুসারী

দাবানলের মতো জ্বালিয়ে দাও সকল বিদ্বেষ নীতি।


সকল সন্নিবদ্ধতার উপসংহারে

আগুন পাখিরা উড়ুক নিজ মহিমায়

অংশুমালী ছড়াক আলো আপন গরিমায়।

রাজেশ ভট্টাচার্য্য

 


       নীলকণ্ঠ প্রেমিক


                  --------রাজেশ ভট্টাচার্য্য


ভালোবেসে করেছি বিষ পান। 

বিষের নেশায় হয়েছি আসক্ত। 

আত্মহত্যা করতে চাইনি।

চেয়েছিলাম বাঁচতে, ভালোবাসতে।

মনের রানী বানিয়ে ভালোবেসেছিলাম 

তোমার নারী রূপকে।  

কথা হয়েছিল---- 

জন্ম-জন্মান্তর হাতে হাত রেখে পথ চলার। 

আমার প্রথম ভালোবাসা, 

কত স্বপ্ন, কত কথা আজ তাসের ঘর। 

বিশ্বাসের হল অপমৃত্যু।

মারণ রোগ তোমাকে করেছে গ্রাস, বলেছিলে। 

কেঁদেছিলাম দেবতার পায়ে।

চেয়েছিলাম  জীবন, জীবনের বিনিময়ে ।  

অমৃতের সন্ধানে খুঁজে পেয়েছি বিষকুম্ভ। 

ঢেলেছো বিষ আমার জীবন পথে। 

 বিষপান করে হয়েছি  বিশ্বম্ভর।

তোমার নারীত্বের সম্মান বাঁচাবো বলে।

জগন্নাথ বনিক


 

         জীবন যুদ্ধ


                  -----জগন্নাথ বনিক 


জীবন যুদ্ধ বড়ই কঠিন,

যদি না, সামলাতে পারে।

সংসার নামক পরিবারটি,

অপবাদ দেয় বারে বারে।।


স্ত্রী বলো আর সন্তান বলো,

সবার চাহিদা অনেক অনেক থাকে।

আমি যে গৃহকর্তা খাঁটছি গাধার মতো,

আমাকে বলে না কেউ থামতে।।


বড়ই দুঃখ বৃদ্ধ বয়সে,

যখন চলে না শরীরের একটি অঙ্গ।

আপন ভেবে আর,কেউ ভালোবাসে না,

পাইনা আর আগের মতো আমার পরিবারের সঙ্গ।


এই হলো আমার বৃদ্ধ জীবন,

চলছে জীবনের দুখ।

গৃহকর্তা সেজে ধরেছি হাল,

তবুও আসেনি জীবনের সুখ।।

চিন্ময় রায়


 

     বিশ্বাসযোগ্যতা


                ------চিন্ময় রায়


মানব চলছে মানবের মতো-

সঙ্গে নানা কথা।

মনে রেখো মানবের মাঝে,

শ্রেষ্ঠ হচ্ছে বিশ্বাসযোগ্যতা।

বিশ্বাসেই তো মানুষ চলে,

নানা রকম কথা বলে বিশ্বাস অর্জন করে-

বিশ্বাসঘাতক অবিশ্বাসের ফলে,

 ডিপ্রেশনে ভোগে মরে।

যোগের সাথে তাল মিলিয়ে চলছি মোরা সকলেই,

সমবয়সী ছোটরাও আজ,

 প্রাণ হারাচ্ছে অকালে।

বিশ্বাস আছে বলেই তো মানুষ সম্পর্কগুলো গড়ে,

অবিশ্বাসের ফলেও আবার সম্পর্কে ফাটল ধরে।

বিশ্বাসেই তো জীবন চলে-

সে কথা জ্ঞানীরা ও বলে,

 তাইতো বলি মানবজাতি,

 বিশ্বাস রেখো অপরের প্রতি,

 বিশ্বাসের ফলে ক্ষতি হবে না সমাজ ও মানুষের-

 অপর ক্ষেত্রে দেখলাম আমি অন্ধ বিশ্বাসের ফলে,

 সকল মানুষ নিজের নিজের স্বার্থ বুঝে চলে।

স্বার্থের জন্য মানব আবার খুনোখুনি করে,

 সেই কারণে ও মানব জাতি,

 সত্যিই ভোগে মরে।

মন্দিরা বিশ্বাস


 

     জিজ্ঞাসা 

 

               -----মন্দিরা বিশ্বাস

 

সিঁদুর এর মূল্য কী 

তা একজন নারীকে জিজ্ঞেস করো।

সাদা কাপড়ের যন্ত্রনা কী

তা একজন বিধবাকে জিজ্ঞেস করো।

সৎ থাকার মূল্য কী 

তা একজন পরিশ্রমীকে জিজ্ঞেস করো।

অপরাধের যন্ত্রনা কী 

তা একজন আসামীকে জিজ্ঞেস করো।

অন্নের মূল্য কী

তা একজন কৃষককে জিজ্ঞেস করো।

অনাহারের যন্ত্রনা কী 

তা একজন ভিক্ষুককে জিজ্ঞেস করো।

সন্তান এর মূল্য কী

তা‌ একজন মা-বাবাকে জিজ্ঞেস করো।

মা-বাবা না থাকার যন্ত্রনা কী 

তা একজন অনাথকে জিজ্ঞেস করো।