একটি নয়, দুটি বছর ধরে প্রতীক্ষায় আছি। স্বপ্ন দিয়ে বানিয়েছি এক অপরূপ রংমহল। গেছে বছর তুমি এসেছিলে, তাতে তোমার কোনো দোষ নেই। তোমার আগমনে ফুটেছিল কত রাঙা পলাশ-কৃষ্ণচূড়া, ছিল আগুন ভরা কত শিমুলের মেলা। সবই ছিল। কিন্তু রাঙানো হলো না প্রিয়জনদের। কেউ রাঙিয়ে দিল না আমাকেও। এমনি করেই অতৃপ্ত অভিলাষ রেখে তোমাকে বিদায় জানিয়ে ছিলাম আগামীর আশা নিয়ে। এবারও তোমার আগমনে প্রকৃতি রানী সেজেছে অপরূপ সাজে। গাছে গাছে কত রাঙা শিমুল, কত পলাশ, চারিদিক মুখরিত কোকিলের কুহু কুহু গানে। কৃষ্ণচূড়া যেন অঞ্জলি দিতে প্রস্তুত। ঋতুরাজ বসন্ত যেন প্রকৃতির মুখ দিয়েই জানান দিচ্ছে তার আগমন বার্তা। আকাশে বাতাসে ধ্বনিত হচ্ছে কবিগুরুর সুরে---"ওরে গৃহবাসী খোল দ্বার খোল লাগলো যে দোল"। বসন্তের আগমনে প্রকৃতির সাথে তাল মিলিয়ে শিশু থেকে শুরু করে বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের মনও হয়ে উঠে রঙিন। মনে দোল খায় এক সুন্দর অনুভূতি। স্বপ্নের এই রংমহলে এবছর তৃপ্ত হব প্রিয়জনদের রঙিন ভালোবাসায়।
প্রিয় পাঠক, আপনাদের ভালোবাসা এবং প্রেরণাকে সাথী করে সাফল্যের যাত্রাপথে আমরা আরো এক ধাপ এগিয়ে গেলাম। এবারে প্রকাশিত হলো "সাহিত্য নয়ন"-এর "বসন্ত উৎসব" নামক দ্বাদশতম সংখ্যা। সম্মানিত কবিদের লেখনীতে যেন লেগেছে বসন্তের ছোঁয়া। স্বকীয়তা, মাধুর্য, গভীরতা সবকিছু মিলিয়ে নয়নের পাতাকে কবি-লেখনী দিয়ে সাজিয়েছেন অপরূপ সাজে। চলুন আমরা সবাই মিলে উনাদের সাজানো পাতা থেকে রস আস্বাদন করি। আপনাদের সার্বিক মতামতের অপেক্ষায় রইলাম। আবারো দেখা হবে আগামী বাংলা নববর্ষের কোনো একদিনে।
ধন্যবাদ ও শ্রদ্ধাসহ---
রাজেশ ভট্টাচার্য্য
সম্পাদক, সাহিত্য নয়ন
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন