এক্সপেরিমেন্ট
-----সুব্রত রায়
খারাপ খবর দ্রুত ছড়ায়। ব্যতিক্রম ঘটলো না এবারও। দলে দলে লোক এসে জড়ো হলো অহর্নিশবাবুর উঠোনে । উঠোন আসলে একটা সেকেলে শব্দ। কথাটার সঙ্গে ব্যক্তি মালিকানার ভাবনা জড়িত। ফ্ল্যাটবাড়ির উঠোন সার্বজনীন। অহর্নিশবাবু এখন এখানেই শায়িত। পুরপরিষদে খবর গেছে, জবাব ভাল আসেনি। শব-গাড়ি পাওয়া যায়নি। ব্যর্থতার এই খবর জনতা লুফে নিলেন। অহর্নিশবাবু সেই আলোচনার তলায় চাপা পড়ে গেল।
বাঁশ ,দড়ি, চাটাই, কলসী জোগাড় করতে দৌড়ঝাঁপ শুরু হয়ে গেল। উৎসবের আবহে অহর্নিশবাবু পড়ে রইলেন একপাশে।
বহন করছে চারজন। এর মধ্যে মাত্র একজন অহর্নিশবাবুর আওলাদ। বাকিদের পেছনে অলরেডি খরচা হয়ে গেছে একরাউণ্ড। যেতে যেতে পাড়ার কাজের মাসি থেকে রাজনীতি ছুঁয়ে মহাকাশ বিজ্ঞান ,সব আলোচনাই শুনতে হল অহর্নিশবাবুকে। সব মিলিয়ে প্রায় পঞ্চাশজন হবে। কথার বৈচিত্রে আবারও একবার হারিয়ে গেলেন অহর্নিশবাবু।
উনুনে চাপিয়ে সটকে পড়লেন প্রায় সকলে। অফিস, চেম্বার, স্কুল,কলেজ, দেরী হয়ে যাচ্ছে যে। এখন মাত্র দুজন পেইড ডোম ,আর কেউ কোথাও নেই। ওরা এইমাত্র আড়ালে চলে গেছে। উদ্দেশ্য একটু ঢুকুঢুকু। এই সুবর্ণ সুযোগ।দ্রুত উনুন থেকে নেমে চোঁ-চা দৌড় লাগালেনঅহর্নিশ বাবু । পুরপরিষদকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছিলেন মনে মনে ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন