বাঁচুক ত্রিপুরা
------মিঠু মল্লিক বৈদ্য
পাহাড়িয়া ত্রিপুরাসুন্দরী,
বিশ্বজোড়া নৈরাশ্যের আঁধার,
তবুও ছিল আশান্বিত;
ভিনদেশি করোনার কলঙ্কে
হয়তো হবে না কলঙ্কিত।
হল তবে আশাভঙ্গ;
বাতাসে ভাইরাস,
অনুনাদিত এক সুর;
মৃত্যুর আশংকায় আশংকিত;
ছোট্ট ত্রিপুরায় করোনার অভিনিবেশ।
নিদারুণ সংকটের মুখোমুখি,
চৈত্রের দাবদাহ!
কালবৈশাখীর তান্ডবনৃত্য;
অবসাদগ্রস্থ মন,
দৈন্য দশায় প্রকৃতি।
যেথা রুদ্ধ দ্বার দেবালয়ের,
রাজপথে শূন্যতা,
নেই জনকল্লোল।
ভারাক্রান্ত হৃদে
শুধুই মরনের হাতছানি-
হেথায় উন্মুক্ত হাসপাতালের চৌকাঠ;
উৎসুক চিত্তে,দাঁড়িয়ে প্রহরী
চিকিৎসক, সেবিকা আর যত স্বাস্থ্যকর্মী।
সেদিনের অশুদ্ধ দ্বার,দেবগৃহ
আর অযোগ্যরা দেবদূত!
সংকটকে কল্পনায় ভীত নয় ওরা,
অশরীরী দানবের বিরুদ্ধে ধরিছে অস্ত্র।
অথচ সাঁজোয়া নেই ওদের,
নেই রনসজ্জা ও।
তবুও মেলিছে দশভূজা;রক্ষিতে ত্রিপুরা।
ভয়কে করিছে জয়,
হয়েছে মৃত্যুঞ্জয়ী।
ম্লানতা,অবসন্নতা যত
দিয়েছে অঞ্জলি,
ওরা যে মানবকল্যাণকারি।
হে আশুতোষ!ক্ষান্ত কর
দানবের তেজস্ক্রিয়তা,
সঞ্জিবনীর কর উন্মোচন;
না হয় আরও একবার, আবির্ভূত কর
প্রফুল্লচন্দ্র,ফ্লেমিং কিংবা জেনার।
পিছনে হারিয়ে যাক হিংসা, অহংকার
মতানৈক্যে,অসামঞ্জস্য,মুমুর্ষূ কাল।
নবদিগন্তে উত্থিত হউক নবসূর্য,
খুলে যাক হৃদয়ে খুশীর দরজা
বাঁচুক মোদের প্রিয় ত্রিপুরা।
দারুণ
উত্তরমুছুন