বছর ঘুরে আবার শারদ ক্ষীর্ষার পদচারণা। প্রকৃতির ভ্রুকুটি, আর বিশ্ব উষ্ণায়নে বদলে যাওয়া শরৎ আজ অনেক কিছুই হারিয়েছে। তবুও শরৎ নামটি শুনলেই আমাদের চোখের সামনে দোল খায় কাশফুল, শিউলির সৌরভ পেতে জেগে উঠে চঞ্চল মন। শিউলির সৌরভ আর কাশফুলের দোলা জানান দেয় আমাদের প্রাণের উৎসবের। কিন্তু মলমাসের কারনে এবছর শারদ উৎসব তথা বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপূজা হলো হেমন্তে। শরৎ কাল এলেই সেই কবিতাটার কথা মনে পড়ে----"এসেছে শরৎ হিমের পরশ লেগেছে হাওয়ার পরে"। কিন্তু এখন আর হিমের পরশ নেই। বেশ গরম লাগছে এখনো। আগে দুর্গাপুজোর সময়টাতে সত্যিই বেশ হিম হিম ভাব হত। আর এবছর দুর্গাপুজাকে আমরা পেয়েছি সম্পূর্ণ ভিন্ন রূপে। অন্য বছরের বিজয়ায় দেখা হলেই একে অপরকে আলিঙ্গন করতে দ্বিধা করতেন না কেউই। একে অপরের সাথে দেখা হলেই শুরু হয়ে যেত কোলাকুলি আর প্রণাম। বিজয়া যেন প্রকৃত অর্থেই মিলনোৎসব। কিন্তু এ বছর আলিঙ্গন করা তো দূরের কথা, সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলতে হচ্ছে সকলকে।
একটা কথা তো বলতে ভুলেই গেছি; এই সংখ্যা সাহিত্য নয়নের সপ্তম তম সংখ্যা। কবি ও লেখকদের লেখনীর স্পর্শে এবং প্রচ্ছদ শিল্পী কবিতা সরকারের অঙ্কিত যথার্থ প্রচ্ছদে শারদ সংখ্যা হিসেবে এই সংখ্যার আত্মপ্রকাশ। সকলে ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। সকলের প্রতি রইল স্থানভেদে শুভ বিজয়ার প্রীতি, শুভেচ্ছা, স্নেহাশীষ, শ্রদ্ধা ও অকৃত্রিম প্রণাম।
ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা সহ--
রাজেশ ভট্টাচার্য্য
সম্পাদক, সাহিত্য নয়ন
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন