প্রিয় পাঠক, আজ মনটা বড্ড ভারাক্রান্ত। কখনো প্রিয় জনের অকাল চিরনিদ্রায় শায়িত হওয়া কখনো বা প্রিয়জনের প্রিয়জনকে হারানোর আঘাত সইতে সইতে আজ বড্ড ক্লান্ত। সম্পাদকীয় লিখতে বসেছি দু-দুবার, কিন্তু লেখনী কথা বলতে চাইছে না। হঠাৎ চোখে পড়ল প্রিয় কবি কিশোর কুমার ভট্টাচার্যের বার্তা -------- "মেঘহীন শারদ আকাশের পূর্ব দিগন্তে বিকেলের পড়ন্ত বেলায় রামধনু দর্শন সত্যি অভাবনীয়। প্রকৃতির লীলাভূমিতে এখনো মেঘবালিকারা ছুটছে তাই তো তাদেরকে সাত রং-এ সাজাতে প্রয়াস ব্যর্থ হবে না"। মনে পড়ল প্রিয় কবি অমল কুমার মাজির কিছু কথা--------"আমার প্রাণের সাহিত্য নয়ন, আমার ভালোবাসার সাহিত্য নয়ন"। চোখে পড়ল রামধনু সংখ্যার পূর্ণতা লাভের পক্ষে যথার্থ কবি ও প্রচ্ছদ শিল্পী কবিতা সরকারের অংকিত প্রচ্ছদ খানি। চোখের সামনে ভেসে উঠলো সাহিত্য নয়নকে সাজাতে সম্মানিত কবি-লেখকদের রঙিন সৃষ্টি। তাতেই শক্তির যোগান পেল ক্লান্ত মন। সকলের সার্বিক সহযোগিতা এবং উষ্ণ অভ্যর্থনায় অভিভূত হয়ে আপনাদের ভালোবাসার টানে অনেক আশা এবং স্বপ্ন জড়িত আরও একটি নতুন সংখ্যা নিয়ে হাজির হলাম। সাহিত্য-সমুদ্রে যাত্রাপথে ষড়ঋতুর তিনটি ঋতুকে স্পর্শ করে এবারে প্রকাশিত হলো "সাহিত্য নয়ন"-এর "রামধনু" নামক ষষ্ঠতম সংখ্যা। সূর্যের রশ্মি থেকে রামধনুর সাতটি রং আমাদের পরিবেশ ও মনকে প্রভাবিত করে। সূর্যের আলোয় মিশে থাকা সমস্ত রঙে নানা গাছ-পালা, জীবসকল বেঁচে থাকে এবং সকল রঙের সমন্বয় মানুষকে সুস্থ, সবল, যশস্বী ও গৌরবান্বিত করে। এই সাত রঙের আলোকে আমাদের বাসগ্রহ থেকে কালো যবনিকা হোক ছিন্ন। চলুন আমরা সকলে মিলে তরী ভাসাই সাহিত্যের মহাসমুদ্রে। বাকি কথা হবে আগামী সুস্থ প্রভাতে।
ধন্যবাদ, শুভেচ্ছা ও শ্রদ্ধা সহ-------
রাজেশ ভট্টাচার্য্য
সম্পাদক, সাহিত্য নয়ন
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন