------মধুমিতা ভট্টাচার্য
আজ আমার ভালোবাসার জন্মদিন
না, না শুধু আমার কেন?
আজ তোমারও ভালোবাসার জন্মদিন।
আজ, আমাদের ভালোবাসার জন্মদিন।
তোমার মনে আছে
সেদিন তুমি ঈশাণের রোদ মেখে, কপালে
আস্ত এক পৃথিবী এঁকে, এক পৃথিবী
ভালোবাসা বুকে পথ হাঁটছিলে থেমে থেমে ভয়ে ভয়ে।
হঠাৎ , আমার চোখে পড়ল তোমার চোখ ,
দুজনেই দুজনের দিকে তাকিয়ে রইলাম অনন্ত যুগ ধরে,
তারপর -হাতটা বাড়িয়ে দিলাম।
বললাম -তুমিই সেই
যাকে খুঁজে চলেছি
কত নদী, সাগর পেরিয়ে, তুমিই সেই।
আদি থেকে অন্তের পথে,
সত্য থেকে সুন্দরের উপাসনায়,
ধ্বংস থেকে সৃষ্টির আনন্দে।
তুমি বললে -''আমার কোনো
নাম নেই,
পদবী নেই,
শেকড়ের খোঁজ নেই
'আশ্রমতীর্থ 'আমার স্বর্গ।''
আমি বললাম -সেই স্বর্গ থেকেই তো তুমি নেমে এসেছো,
নামে কি আসে যায়? আর পদবী সে তো বানানো।
তুমি নারী এটাই প্রকৃতি,
আমি পুরুষ এটাই সত্য।
তবে, তুমি চাইলে আমি ভালোবেসে তোমাকে ঝর্ণা বলে ডাকবো।
আমি পুরুষ -লোকে বলে পাথর।
সেই পাথরের বুক বেয়ে তুমি
ভালোবাসার ঝর্ণা হয়ে ঝরে পড়বে।
তুমি হেসে হাতটা বাড়িয়ে দিলে।
সেই থেকে কেটে গেলো কত মাস, কত বছর হিসেব রাখেনি।
শুধু ভালোবেসেছি ,
তোমার বুকের শীতল জলে অবগাহন করেছি,
তোমার দুরন্ত খোলা চুলে মেঘের স্বাদ পেয়েছি,
আমার উষ্ণ মরুভূমিতে তুমি বৃষ্টি হয়ে ঝরে পড়েছো,
আমি পূর্ণ হয়েছি তোমার স্পর্শে।
এসো, আজ ভালোবাসার
জন্মদিনে তোমাকে নীলপদ্ম
উপহার দেবো ।
তুমি বললে -''না, না
নীলপদ্ম আমার চাই না,
ওখানে মৃত্যু ফণা তুলে
আছে।
আমি বললাম -ভয় নেই ,
ভালোবাসার শুধু জন্ম হয়
মৃত্যু হয় না।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন